এই স্মার্ট ইরিগেশন সিস্টেম একবার সেটাপ করে নিলে, নিয়মিত সময় অনুযায়ী অটোম্যাটিক ভাবে গাছে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পরে আবার পুনরায় অটোম্যাটিক ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।
আমাদের দেশে এমন অনেক ব্যবসায়ী ভাইরা আছেন যারা তাদের বাড়ির সামনে/ বাডির ছাদের অল্প ফাঁকা অংশটুকু কাজে লাগিয়ে সুন্দর বাগান তৈরি করেন।
ছাদ বাগানে সার প্রয়োগের ব্যাপারে যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। দুই (২) সপ্তাহ পরপর অল্প পরিমাণ সার স্প্রে করতে হবে। প্রথম পর্যায়ে ১ লিটার পানিতে ৫ গ্রাম ইউরিয়া, ৫ গ্রাম টিএসপি, ১-২ গ্রাম বোরণ সার ভাল করে গুলে নিতে হবে ( সেক্ষেত্রে টিএসপি সার ৩/৪ ঘণ্টা আগে ভিজিয়ে রাখা ভাল)। ২য় পর্যায়ে ১ লিটার পানিতে (১ম বারের ২ সপ্তাহ পর) ৫ গ্রাম ইউরিয়া, ৫ গ্রাম জিংক গুলিয়ে নিতে হবে। ৩য় পর্যায়ে ১ লিটার পানিতে (২য় বারের ২ সপ্তাহ পর) ৫ গ্রাম ইউরিয়া, ২-৩ গ্রাম এমওপি সার গুলিয়ে, চারা/ছোট গাছের ক্ষেত্রে ৪/৫টি গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করা যেতে পারে, বড় গাছের ক্ষেত্রে (বড় টবে হলে) ২টি গাছের গোড়ায় প্রয়োগ করা যেতে পারে, আবার হাফ ড্রামে হলে ১টি গাছের গেড়ায় প্রয়োগ করা যেতে পারে। এভাবে অল্প অল্প সার আবর্তকভাবে প্রয়োগ করলে ছাদ বাগানে ভালো ফলন পাওয়া যাবে। সার মিশ্রিত পানি পড়ন্ত বিকেলে প্রয়োগ করা ভাল তবে গাছের গোড়ার মাটিতে ঐ পরিমাণ সার মিশ্রিত পানি প্রয়োগ করতে হবে যাতে গোড়ার মাটি পরের দিন শুকিয়ে যায় । বর্ষার সময় গাছের গোড়ায় অতিরিক্ত পানি না জমে সেভাবে সেচ দিতে হবে। ছাদ বাগানে জৈবসার ব্যবহার সব থেকে উত্তম।
ড্রাগন ফ্রুট গাছ ক্যাকটাস সদৃশ্য এবং ছোট গোলাকার ফলের ভিতরের অংশ সাধারনত লাল ও সাদা বর্ণের হয়ে থাকে। ড্রাগন ফলের ভিতরের অংশে ছোট ছোট নরম বীজ থাকে। আমাদের দেশের আবহাওয়া ড্রাগন ফল চাষের জন্য উপযুক্ত এবং এখন পর্যন্ত পরিক্ষামূলক চাষেও ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। আপনি চাইলে বাড়ির ছাদ বাগানে বড় টবে বা ড্রামে ড্রাগন ফল চাষ করে শখ পুরণ ও পুষ্টি আহরণ দুটোই করতে পারেন। নিম্নে ছাদ বাগানে ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি বিস্তারিত ভাবে বর্ণনা করা হলো।
জাহ্নবীকে এই বিষয়ে আগেই সাবধান করেছিলেন শ্রীদেবী
ড্রাগন ফল গাছের সঠিক পরিচর্যা না করলে ফলন ভালো হবেনা। যদিও ড্রাগন ফল গাছে তেমন একটা রোগ বালাইয়ের আক্রমন হয়না তবে পারিপার্শ্বিক অন্যান্য যত্ন নিয়মিত নিতে হয়। চারা লাগানোর পর ড্রাম টি রোদ যুক্ত স্থানে রাখুন। এটি ক্যাকটাস জাতীয় গাছ বলে চাষে খুব বেশি পানি দিতে হয়না। চারায় পানি দেয়ার সময় লক্ষ্য রাখুন যেন গোড়ায় পানি না জমে। ড্রামের ভিতরের বাড়তি পানি সহজেই বের করে দেবার জন্য ড্রামের নিচের দিকে ৪ থেকে ৫ টি ছিদ্র করে দিন মাটি ভরাট করার পুর্বেই। ড্রাগন গাছের ডালপালা লতার মত হওয়ার কারনে গাছের হালকা বৃদ্ধির সাথে সাথেই খুঁটির সাথে বেঁধে দিবেন এতে করে গাছ সহজেই ঢলে পরবেনা।
ড্রাগন গাছের জন্য দিনে কত ঘন্টা সূর্যের আলা প্রয়োজন?
ড্রাগন ফল ছাদে এবং জমিতে উভয় জায়গাতেই চাষ করতে পারবেন। প্রায় বাংলাদেশের সকল মাটিই ড্রাগন চাষের উপযোগী। কিন্তু জৈবসারযুক্ত বেলে দোআঁশ মাটি ড্রাগন চাষের সবচেয়ে উত্তম মাটি। সাধারণত ড্রাগন চাষের জন্য কাটিং লাগাতে হয় এবং তা নিয়মিত পরিচর্চার মাধ্যমে বড় করতে হয়। ছাদে লাগাতে চাইলে বড় ড্রাম কিংবা টবে লাগাতে হবে।
প্রচুর ঘাম হয়? শরীরে পানির চাহিদা পূরণে যে ৫ ফল খাবেন
Drip irrigation set up employing a 4HP diesel engine
শিমের জমিতে সার উপরি প্রয়োগের কাজ দুই কিস্তিতে করতে হয়। প্রথম কিস্তি চারা গজানোর এক মাস পর এবং দ্বিতীয় কিস্তি গাছে দুই-চারটি ফুল ধরার সময়। প্রতি কিস্তিতে মাদা প্রতি ২৫ গ্রাম ইউরিয়া ও ২৫ গ্রাম এমওপি সার গাছের গোড়ার চারদিকে (গোড়া থেকে ১০ থেকে ১৫ সেন্টিমিটার দূরে) উপরি প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।
কৃষি প্রতিবেদন ও সাফল্য গাথাঁ সফলদের সাফল্য গাথাঁ
বীজের মাধ্যমে অথবা অঙ্গজ পদ্ধতির মাধ্যমে ড্রাগন গাছের বংশবিস্তার করা হয়। তবে মাতৃ গুনাগুণ বজাই রাখার জন্য অঙ্গজ পদ্ধতি মাধ্যমে বংশবিস্তার করা উচিত, অর্থাৎ কাটিং প্রদ্ধতিরর মাধ্যমে বংশ বিস্তার করাই ভালো। ড্রাগন গাছের কাটিং এর সফলতার হার প্রায় ৯৯ শতাংশ এবং তাড়াতাড়ি ফলও ধরে। কাটিং থেকে গাছ তৈরী হতে প্রায় দেড় থেকে দুই বছর সময় লাগে, তারপরে গাছ ফল দেওয়ার উপযোগী হয়। সাধারণত বয়স্ক এবং more info শক্ত শাখার নিচের অংশ ৮ ইঞ্চি কেটে হালকা ছাঁয়াতে বেলে দোআঁশ মাটিতে অথবা বালিতে কাটা অংশে রুট হরমোন লাগিয়ে পুতে দিতে হয়। তারপর ২০ থেকে ৩০দিন পরে কাটিং এর গোড়া থেকে শিকড় বেরিয়ে আসবে। তখন এটা প্রতিস্থাপনের উপযুক্ত হবে।
বাড়ীর ছাদের টবে ড্রাগন ফল চাষের দুর্দান্ত উপায়, হবে বাম্বার ফলন